কোন খাবারে কোন ভিটামিন রয়েছে জেনে নিন
আমাদের শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য ভিটামিন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। যদিও এটি ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টের অন্তর্ভুক্ত, তবে এর প্রভাব অতুলনীয়। বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ভিটামিন কোন খাবারে পাওয়া যায়।
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-এ আমাদের শরীরের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই ভিটামিন পাওয়া যায়:
- প্রাণিজ উৎস: ছোট মাছ (মলা, মলান্দি, কাজলি), গরুর কলিজা, টার্কির কলিজা, ডিম, দুধ, মাখন, কড লিভার অয়েল।
- উদ্ভিজ্জ উৎস: গাজর, পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে।
প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জন্য দৈনিক ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ প্রয়োজন।
ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমকে সঠিক রাখে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ভিটামিন বি১ (থায়ামিন)
- ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন)
- ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন)
- ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক এসিড)
- ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন)
- ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন)
- ভিটামিন বি৯ (ফলিক অ্যাসিড)
- ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন)
খাবারের উৎস: ওটস, গরুর কলিজা, দেশি মুরগির কলিজা, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, টুনা), ডিম, দুধ, শিম, মাশরুম, বাদাম, আস্ত শস্য, কলা, শাকসবজি (পালং শাক), মধু।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রধানত পাওয়া যায়:
- ফল: লেবু, আমলকি, পেয়ারা, আনারস, জাম্বুরা, মাল্টা, কাঁচা আম।
- শাকসবজি: কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা।
ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-ডি হাড় শক্তিশালী করে এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়। এর উৎস:
- তৈলাক্ত মাছ (স্যামন, পাঙ্গাস), মাশরুম, দুধ, ডিমের কুসুম, গম, দই।
ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষকে সুরক্ষিত করে। এটি পাওয়া যায়:
- বাদাম (চিনাবাদাম, আখরোট), উদ্ভিজ্জ তেল, পালংশাক, ব্রকলি, অ্যাভোকাডো, ডিম।
ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-কে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পাওয়া যায়:
- সবুজ শাকসবজি (পালংশাক, বাঁধাকপি), লেটুস পাতা, ফুলকপি, ডিমের কুসুম, বিট, মুলা, রসুনের পাতা।
উপসংহার
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ভিটামিনসমূহের সমন্বয় আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়ক। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত এই খাবারগুলো গ্রহণ করা উচিত।
iPhone SE 4: নতুন মডেল প্রতিদ্বন্দ্বী iPhone 16 ও প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য একটি হুমকি হতে পারে
iPhone SE 4 নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক লিক ও জল্পনা ছড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের প্রথম ভাগে এটি বাজারে আসবে, এবং iPhone SE সিরিজের জন্য এটি সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইন নিয়ে আসবে। SE মডেল হিসেবে, এর দাম প্রধান iPhone সিরিজের তুলনায় কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ₹৪৫,০০০ থেকে ₹৬০,০০০ হতে পারে। যদি লিকগুলো সঠিক হয়, তবে iPhone SE 4 বাজারে একটি বিশেষ স্থান অর্জন করতে পারে, এমনকি এটি iPhone 16 এর বিক্রি এবং প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে ₹৬০,০০০-৭০,০০০ রেঞ্জের ডিভাইসগুলোকে। কেন এটি হতে পারে তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলো:
বাজেট মূল্যে Apple এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যোগ করার সম্ভাবনা খবর অনুযায়ী, iPhone SE 4 Apple এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ক্ষমতা নিয়ে আসতে পারে, যা iPhone SE লাইনআপে Apple AI ব্যবহার করার সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় হতে পারে। যারা নতুন Apple AI ব্যবহারে আগ্রহী, তারা হয়তো iPhone 16 এর জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করেই এই সাশ্রয়ী মডেলটি বেছে নিতে পারেন।
এটি সম্ভব হবে নতুন চিপসেট যুক্ত করে, যেমন A17 Pro বা সম্ভবত A18 সিরিজের চিপসেট। Apple পূর্বে তাদের SE মডেলগুলিতে সর্বশেষ চিপসেট ব্যবহার করেছে, তাই SE 4 এ এটি অন্তর্ভুক্ত থাকাও অপ্রত্যাশিত নয়।
iPhone SE 4 এর একক ক্যামেরা “Fusion” প্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একক ক্যামেরা সেটআপ, যা সম্ভবত Apple এর নতুন “Fusion” ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। iPhone 16 সিরিজে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে, যা ৪৮ মেগাপিক্সেল সেন্সর ব্যবহার করে কাটা এবং কম্পিউটেশনাল অ্যালগরিদমের মাধ্যমে অপটিক্যাল মানের ডিজিটাল শট তৈরি করে। এতে ২এক্স পোর্ট্রেট এবং জুম ছবি তোলা সম্ভব।
এই ফিচারটি iPhone SE 4 এর একক ক্যামেরা সেটআপেও থাকতে পারে, যা পোর্ট্রেট শট এবং ২এক্স জুম সুবিধা প্রদান করবে। অতিরিক্ত লেন্সের প্রয়োজন ছাড়াই এটি XS মডেলের মতো ছবি তুলতে সক্ষম হবে, এবং আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সের অভাব বড় কোনো সমস্যা হবে না। অনেক ব্যবহারকারীই এমনিতে জুম-ইন করে ছবি তোলেন, তাই এটি SE 4 এর জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে।
iPhone 16 এর তুলনায় বড় সাশ্রয় ভারতে iPhone 16 সিরিজের দাম শুরু হয় ₹৭৯,৯০০ থেকে, যেখানে iPhone SE 3 এর দাম অনেক কম, ₹৪৭,৬০০। এর মানে SE 4 মডেলটি iPhone 16 এর তুলনায় প্রায় ₹৩০,০০০ সাশ্রয় করতে সাহায্য করতে পারে।
যদিও Apple SE 4 এর দাম বাড়াতে পারে, তবে ১০-১৫% বৃদ্ধি তাদের জন্য খুবই লাভজনক হবে না। সুতরাং, যদি এটি প্রায় ₹৬০,০০০ এর কাছাকাছি দামেও আসে, তবুও এটি iPhone 16 এর তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান প্রমাণিত হবে।
SE লাইনআপে আধুনিক ডিজাইনের সম্ভাবনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড হতে পারে আরো আধুনিক ডিজাইন। আশা করা হচ্ছে, iPhone SE 4 একটি তীক্ষ্ণ, আধুনিক ডিজাইন নিয়ে আসবে, যেখানে SE 3 এখনও iPhone 8 এবং iPhone 7 এর পুরোনো ডিজাইনের চওড়া বেজেলগুলি রয়েছে। বরং এটি iPhone 14 এবং iPhone 15 এর ডিজাইন অনুসরণ করবে। SE 4 এ Dynamic Island থাকবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে এতে একটি ছোট নচ থাকতে পারে, যা সাশ্রয়ী মূল্যে এটি আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।
অনেক ব্যবহারকারী যারা সাধারণত SE সিরিজের ফোন কিনেন তারা মূলত প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর ভাল ভারসাম্য চান, এবং SE 4 বর্তমান লিক ও গুজব অনুযায়ী ঠিক সেরকমই কিছু দিতে চলেছে। এটিতে iPhone 16 এর মতো একটি ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লেও থাকতে পারে। সুতরাং, iPhone SE 4 তুলনামূলক কম দামে অনুরূপ বৈশিষ্ট্য প্রদান করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা এটি iPhone 16 এবং প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্যও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে।
সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা ছোলা একটি উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যা সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, এবং আদার সঙ্গে খেলে শরীরের জন্য আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক একসাথে পাওয়া যায়। প্রোটিন শক্তি ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক, আর অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ছোলায় জ্বর নিরাময়েরও ক্ষমতা আছে এবং কাঁচা ছোলার ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা বেশি কার্যকরী। পানিতে ভেজানো ছোলায় ভিটামিন বি-এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা বেরিবেরি, মস্তিষ্কের গোলযোগ, এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। ছোলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সিও থাকে, যা ঝাল, তেল, মসলাযুক্ত ছোলার তুলনায় কাঁচা অবস্থায় বেশি পুষ্টিকর।
রান্না করার সময় ছোলায় যত কম তেল ও মসলা ব্যবহার করা যায়, ততই তা শরীরের জন্য ভালো। ছোলা কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে, বিশেষ করে ভিনেগারে সারারাত ভিজিয়ে খালি পেটে সকালে খেলে কৃমি দূর হয়। এছাড়া যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেও ছোলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শুকনা ছোলা ভেজে খেলে শ্বাসনালীর জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ পরিষ্কার হয়।
ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই শুধু রমজান মাসেই নয়, সারা বছরই এটি খাবারের অংশ হতে পারে।
সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা:
১. ডায়াবেটিসে সহায়ক: ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা, এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ছোলার শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। ছোলায় ক্যালসিয়াম, লৌহ, এবং বিভিন্ন ভিটামিন থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে।
২. যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে: যৌনশক্তি বাড়াতে ছোলার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুকনা ছোলা ভাজা শ্বাসনালীর জমে থাকা কাশি ও কফ পরিষ্কার করতে সহায়ক। ছোলার শাকেও প্রচুর আঁশ থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ছোলায় ভালো পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৪. মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করতে: ছোলায় পর্যাপ্ত ভিটামিন বি থাকে, যা মেরুদণ্ডের ব্যথা ও স্নায়ুর দুর্বলতা কমাতে সহায়ক।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে: কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড গ্রহণের মাধ্যমে কোলন ও রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো যায়। এছাড়া এটি অ্যালার্জি ও অ্যাজমার প্রকোপও হ্রাস করে।
গরম ভাতের সাথে চিংড়ি মালাইকারি তৈরির সহজ পদ্ধতি
ওয়েব ডেস্ক
চিংড়ি মালাইকারি এক অবিস্মরণীয় পদ যা গরম ভাতের সাথে খেতে অতুলনীয়। আজ আমরা আপনাদের জন্য সহজ রেসিপি নিয়ে এসেছি, যাতে আপনি বাড়িতেই সহজে এই সুস্বাদু চিংড়ি মালাইকারি রান্না করতে পারেন। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কিভাবে প্রস্তুত করবেন চিংড়ি মালাইকারি।
উপকরণ
- চিংড়ি মাছ (বড় সাইজ) – ৭-৮টি
- পেঁয়াজ বাটা – ১ কাপ
- হলুদ গুঁড়া – ২ চা চামচ
- শুকনো মরিচ গুঁড়া – ২ চা চামচ
- ঘি – ৪ চা চামচ
- তেজপাতা – ২-৩টি
- এলাচ – ৫-৬টি
- সরিষার তেল – প্রয়োজনমতো
- নারকেলের দুধ – ১ কাপ
- টমেটো পিউরি – ৪ চা চামচ
- আদা-রসুন বাটা – ৩ চা চামচ
- চিনি – ২ চা চামচ
- কাঁচামরিচ (চেরা) – ৫-৬টি
- দারুচিনি – ৫-৬টি
- লবণ – পরিমাণমতো
- পানি – প্রয়োজনমতো
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন এবং লবণ ও হলুদ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
২. এবার একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের মধ্যে ১ চা চামচ ঘি দিন, এবং গরম হলে তেজপাতা, দারচিনি এবং এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন।
৩. তেলটি মশলার সাথে মিশে গেলে চিংড়ি মাছগুলো হালকা ভেজে তুলে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।
৪. তারপর কড়াইতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ সামান্য লালচে হলে আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিন এবং ভালোভাবে মেশান।
৫. মসলাগুলো কষিয়ে নিলে টমেটো পিউরি দিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটু ফুটে উঠলে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে দিন।
৬. তারপর পরিমাণমতো পানি যোগ করে গ্রেভিটি ফুটতে দিন। এরপর এতে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো যোগ করুন।
৭. কড়াইতে নারকেলের দুধ ঢেলে কিছুক্ষণ রান্না করুন যাতে সমস্ত স্বাদ ভালোভাবে মিশে যায়। শেষে কাঁচামরিচ, এলাচ এবং একটু ঘি দিয়ে ঢেকে দিন।
৮. তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু চিংড়ি মালাইকারি। এবার এটি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
এই সহজ পদক্ষেপগুলো মেনে আপনি চিংড়ি মালাইকারি তৈরি করতে পারবেন। এটি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন, এবং বাড়ির পরিবেশে উপভোগ করুন রেস্তোরাঁর স্বাদ।
IELTS কি এবং কেন প্রয়োজন?
IELTS (International English Language Testing System) একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা, যা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয়। এই পরীক্ষাটি দুটি ধরণের হতে পারে: একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং। যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন, তাদের জন্য একাডেমিক মডিউল প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে যারা অভিবাসন বা চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে চান, তাদের জন্য জেনারেল ট্রেনিং মডিউল প্রযোজ্য। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, যেকোনো ব্যক্তি এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
পরীক্ষার কাঠামো
দুটি মডিউলেই চারটি দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়: লিসেনিং, রাইটিং, রিডিং, এবং স্পিকিং। লিসেনিং, রাইটিং এবং রিডিং পরীক্ষা একই দিনে বিরতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়, তবে স্পিকিং পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখে পূর্বে বা পরে হতে পারে। সম্পূর্ণ পরীক্ষাটি প্রায় ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়।
রাইটিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রাইটিং পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর কল্পনাশক্তি ও বিশ্লেষণ দক্ষতা যাচাই করা হয়। প্রথম প্রশ্নে একটি গ্রাফ, চার্ট, ডায়াগ্রাম বা মানচিত্র প্রদর্শিত হয় যা বিশ্লেষণ করতে হয়, এবং দ্বিতীয় প্রশ্নে একটি যুক্তি বা বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রদান করতে হয়। প্রথম প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং দ্বিতীয় প্রশ্নের জন্য ৪০ মিনিট ব্যয় করা পরামর্শ দেওয়া হয়। শব্দের সীমাবদ্ধতা যথাক্রমে ১৫০ ও ২৫০ শব্দ, তবে এর কম লিখলে নম্বর কাটা যাবে। জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে প্রথম প্রশ্নে চিঠি লেখা থাকে, যা ফরমাল বা ইনফরমাল হতে পারে।
স্পিকিং সেকশন
সময়সীমাঃ ১০-১৫ মিনিট
স্পিকিং পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষাটি তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, দ্বিতীয় অংশে নির্দিষ্ট বিষয়ে বক্তৃতা দিতে হয় এবং তৃতীয় অংশে সেই বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন করা হয়। পরীক্ষার শুরুতে কিছু সময় দিয়ে বিষয় নিয়ে নোট নেওয়ার সুযোগ থাকে এবং বক্তব্য শেষে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থামতে হবে না।
লিসেনিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৩০ মিনিট
লিসেনিং পরীক্ষায় ব্রিটিশ উচ্চারণে ৪টি রেকর্ডিং শোনানো হয়, যার প্রতিটি রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। রেকর্ডিংগুলি একবারই শোনানো হয়। প্রথম রেকর্ডিংয়ে দৈনন্দিন জীবনের কথোপকথন, দ্বিতীয়টিতে সামাজিক বিষয়ে একক বক্তৃতা, তৃতীয়টিতে শিক্ষামূলক আলোচনার কথা থাকে এবং চতুর্থটিতে একাডেমিক বিষয়ে বক্তৃতা থাকে।
রিডিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রিডিং সেকশনে মোট ৪০টি প্রশ্ন থাকে যা থেকে পরীক্ষার্থীর বোঝাপড়া, বিশ্লেষণ এবং লেখকের অভিপ্রায় ধরার ক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। একাডেমিক মডিউলে সাধারণত গবেষণামূলক দীর্ঘ নিবন্ধ থাকে, যা সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপিত হয়। জেনারেল ট্রেনিংয়ের রিডিং সেকশনে দৈনন্দিন জীবনের সহজ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
IELTS পরীক্ষায় সফলতার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, কারণ এটি প্রার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে।
গরমকালে বাতাবি লেবুর উপকারিতা
বাতাবি লেবু, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি-টক ফল, গরমের দিনে অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে ভরপুর নয়, বরং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও প্রতিরোধ করে। প্রায় সব বয়সের মানুষ বাতাবি লেবুর স্বাদ ও গুণ উপভোগ করেন, যা জাম্বুরা নামেও পরিচিত।
গরমে খাবার অনীহা কমানোর জন্য
গরমের দিনে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, ফলে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। তবুও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে শরীর সুস্থ থাকে। এই সময়ে এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া জরুরি যা শরীরকে সতেজ রাখে, আর বাতাবি লেবু সেই তালিকায় শীর্ষে।
শরীরে পানির অভাব পূরণে বাতাবি লেবু
গরমে ঘাম বেশি হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। বাতাবি লেবুতে প্রচুর পানি রয়েছে যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই ফলটি শরীরের পানি ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বাতাবি লেবুতে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরমে নানা রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি।
ত্বকের যত্নে সহায়ক
বাতাবি লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবারও রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। এই ফলটি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সহায়ক এবং ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
হজমে সহায়ক
গরমকালে হজমের সমস্যায় ভুগলে বাতাবি লেবু খাওয়া বিশেষ উপকারী। এর অম্লীয় গুণ খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
বাতাবি লেবুর বিশেষ গুণাবলী
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বাতাবি লেবুতে রয়েছে ফ্যাট বার্নিং এনজাইম যা শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ও চিনি শোষণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি একটি দারুণ খাদ্য।
ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী
বাতাবি লেবুতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা ক্যানসার সেল বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য এই ফল ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
বাতাবি লেবুতে পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কার্যকর
বাতাবি লেবুতে থাকা পেকটিন রক্তের দূষিত পদার্থগুলোকে বের করে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, যা শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করে।
হজম ও দাঁতের যত্নে বাতাবি লেবু
বাতাবি লেবুর পাতাও দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এটি দাঁতের সমস্যা সমাধানে কার্যকর এবং গামের সমস্যায়ও ব্যবহার করা হয়।
ডিসেম্বর মাসে Orion নামে নতুন AI মডেল উন্মোচনের পরিকল্পনা OpenAI-এর
প্রতিবেদন অনুসারে, OpenAI তাদের পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল “Orion” শীঘ্রই উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে, যা GPT-4-এর থেকে শতগুণ বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন মিডিয়া The Verge অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে, এই নতুন মডেলটি সরাসরি ChatGPT-তে প্রকাশিত হবে না। The Verge-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, OpenAI Orion-এর অ্যাক্সেস প্রথমে তাদের ব্যবসায়িক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করবে, যাতে তারা এই উন্নত মডেলটি ব্যবহার করে নিজেদের পণ্য ও সেবা উন্নত করতে পারে। এর মাধ্যমে GPT-4o এবং o1-এর মতোই ভিন্নভাবে এটি ব্যবহৃত হবে।
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে যে, সম্ভবত নভেম্বর মাসে Orion Microsoft Azure-এর মাধ্যমে হোস্ট করা হবে, যা বড় পরিসরে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে।
যদিও OpenAI Orion-কে GPT-4-এর উত্তরসূরি হিসেবে দেখছে, তবে এটি বাইরে থেকে GPT-5 নামে পরিচিত হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
OpenAI-এর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য তাদের বৃহৎ ভাষা মডেলগুলো (LLMs) একত্রিত করে কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (AGI) তৈরি করা, যা বর্তমান মডেলের চেয়েও বেশি সক্ষম হবে।
OpenAI-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান এর আগেও এটি নিয়ে একটি সংকেতমূলক পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “শীতের নক্ষত্রমণ্ডল খুব শিগগিরই উদয় হতে চলেছে,” যা Orion-এর প্রতি ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে যে, OpenAI ইতিমধ্যে “Strawberry” কোডনেমের অধীনে o1 মডেল ব্যবহার করে কৃত্রিম ডেটার মাধ্যমে Orion-এর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
এই সময়ে Orion-এর মুক্তি OpenAI-এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি $6.6 বিলিয়ন ডলারের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং এর জন্য তাদের ব্যবসায়িক কাঠামোকে লাভজনক হিসাবে পুনর্গঠন করতে হয়েছে।
মশা তাড়ানোর ৭টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড় থেকে নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মশার কামড় এড়াতে অনেকেই বাজারের বিভিন্ন কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেন, যা অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হলো, যা স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজে তৈরি করা যায়।
১) পুদিনা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ
পুদিনা তেল মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। এতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। ১২ ফোঁটা পুদিনা তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে হাতে ও পায়ে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে মশার উৎপাত কমবে।
২) নিম তেল ও নারকেল তেল
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম তেল মশার বিরুদ্ধে কার্যকরী। ১০ ফোঁটা নিম তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। দিনে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে মশা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
৩) আপেল সিডার ভিনেগার ও লবঙ্গ তেল
মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে লবঙ্গ তেল ও আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ৫০ এমএল আপেল সিডার ভিনেগার, ৫০ এমএল পানি ও ১০-১২ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ত্বকে প্রয়োগ করুন।
৪) দারুচিনি তেল ও পানি
এডিস মশা, যা ডেঙ্গু বিস্তার করে, তাড়াতে দারুচিনি তেল বেশ কার্যকর। ১০ ফোঁটা দারুচিনি তেল ৩০-৪০ এমএল পানিতে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন।
৫) মাউথওয়াশ ও এপসম সল্ট
মাউথওয়াশের কিছু উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। একটি বড় মাউথওয়াশের সাথে তিন কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে এই মিশ্রণ ঘরের চারপাশে দিনে দুইবার ছিটিয়ে দিন। এটি মশা দূরে রাখার জন্য ভালো কাজ করবে।
৬) রসুন ও লেবুর মিশ্রণ
৫-৬টি রসুনের কোয়া কুচিকুচি করে কেটে এতে এক টেবিল চামচ মিনারেল অয়েল মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এই মিশ্রণ থেকে রসুন ছেঁকে এতে এক চা-চামচ লেবুর রস ও দুই কাপ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। এটি ঘরের গাছপালায়ও ছিটাতে পারেন।
৭) লবঙ্গ ও লেবু
একটি লেবু কেটে দুই টুকরো করুন। প্রতিটি টুকরোতে ৫-৬টি লবঙ্গ ঢুকিয়ে রুমের বিভিন্ন স্থানে রাখুন। এটি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
জাতীয় শিক্ষক দিবস: শিক্ষকদের ভূমিকা এবং গুরুত্ব
শিক্ষকরা আমাদের জীবনের মূল ভিত্তি গড়ে তোলার কারিগর। একজন শিক্ষকের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের জীবনে আলোর পথ দেখায় না, বরং তাদের অনুপ্রেরণাও যোগায়। তাদের ছাড়া উন্নত সমাজ এবং সুশৃঙ্খল জীবন গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। শিক্ষকরা ছাত্রদের জীবনকে মমতা, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে আলোকিত করেন, তাদেরকে একটি সুদৃঢ় ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
বাংলাদেশে ২০০৩ সালে ১৯ জানুয়ারি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ প্রবর্তিত হয়। সেই থেকে এই দিনটি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন হিসেবে পালন করে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছিল, যেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
একজন মানুষের জীবনে সফলতা অর্জনের পেছনে শিক্ষকের অবদান অমূল্য। শিক্ষকরা জ্ঞানের আলো দিয়ে আমাদের জীবনকে আলোকিত করেন। তবে, বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মানের কিছুটা অবনতি ঘটেছে। মুখস্থ বিদ্যা এবং নম্বর অর্জনের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে, যা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর পেছনে অপেশাদার কিছু শিক্ষকের ভূমিকা আছে, যারা শুধুমাত্র অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষাকে অপব্যবহার করছেন। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তবে, পুরো শিক্ষক সমাজকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা খুবই প্রয়োজনীয়। শিক্ষকরা শুধু জ্ঞানের আলো দেন না, তারা আমাদের নৈতিকতা, সততা, মানবিক মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমের বোধও গড়ে তোলেন। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি গঠনেও শিক্ষকদের অবদান অপরিসীম। তারা ছাত্রদের জীবনে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সহায়ক হন, এবং একজন আদর্শ জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
শিক্ষকরা একটি জাতির মেরুদণ্ড তৈরির শিল্পী। দক্ষ শিক্ষক ছাড়া একটি জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না। একজন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করে তোলেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, দেশপ্রেম, এবং মানবিকতা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সহানুভূতি, ভালোবাসা, এবং দিকনির্দেশনা শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং একজন সৎ এবং সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
শিক্ষকদের গুরুত্ব এবং দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধুমাত্র পাঠদান করেন না, তিনি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভাকেও জাগিয়ে তোলেন। তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, ডাক্তার, রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক গড়ে ওঠে। তাই, শিক্ষকদের অবদান এবং তাদের প্রতি সম্মান সর্বদাই আমাদের মনে রাখা উচিত।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর শিক্ষকরা সেই মেরুদণ্ড তৈরির প্রধান কারিগর। তাদের জ্ঞান, সততা এবং নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে একটি জাতি গঠিত হয়। সুশিক্ষিত এবং দক্ষ শিক্ষকরাই একটি জাতিকে সভ্যতার শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল: কখন, কীভাবে, এবং কারা জমা দিবেন
আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স হলো একটি বাধ্যতামূলক অর্থ যা ব্যক্তিগত আয় বা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের উপর আরোপিত হয়। এই কর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য সংগ্রহ করা হয়। আয়কর রিটার্ন হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে করদাতা তার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য প্রদান করেন কর কর্তৃপক্ষের কাছে। এই রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে করদাতার করযোগ্য আয়ের হিসাব নির্ধারণ করা হয়।
কারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন?
দুই ধরণের ব্যক্তিকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
১. যাদের করযোগ্য আয়, মুনাফা বা লাভ রয়েছে। ২. এমন ব্যক্তিবর্গ যাদের আয় থাকুক বা না থাকুক, আয়কর নির্দেশিকা ২০২১-২২ অনুযায়ী ২২ প্রকারের ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
কত আয় হলে আয়কর দিতে হবে?
নির্দিষ্ট আয়ের সীমার ওপর ভিত্তি করে আয়কর দিতে হয়:
- পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়।
- মহিলা, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়।
- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে।
- প্রতিবন্ধী করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে।
এই আয়ের সীমার মধ্যে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না, তবে শূন্য রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর রিটার্ন দাখিল মানেই সবসময় কর পরিশোধ নয়; যদি আয় করসীমার ওপর থাকে তবে নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে।
কখন আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন?
করদাতাকে নির্দিষ্ট কর দিবসের মধ্যে তার আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। ২০২১-২২ কর বছরের জন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার সর্বশেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর ২০২১। সাধারণত, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়কাল ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হয়।
কোথায় আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন?
প্রত্যেক শ্রেণির করদাতার জন্য নির্দিষ্ট আয়কর সার্কেল আছে যেখানে রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। দেশের ৩১টি কর অঞ্চলে ৬৪৯টি সার্কেলে এই রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। পুরোনো করদাতারা তাদের পূর্বের সার্কেলে রিটার্ন জমা দিবেন, আর নতুন করদাতারা তাদের নাম, চাকরির স্থান বা ব্যবসার ঠিকানার ভিত্তিতে সার্কেল নির্ধারণ করে রিটার্ন জমা দেবেন। এছাড়াও প্রয়োজন হলে নিকটস্থ আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে সহায়তা নেওয়া যায়।
কীভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রতিটি করদাতার জন্য নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এটি নিজে জমা দেওয়া সম্ভব, তবে কোনো আইনজীবী বা আয়কর বিশেষজ্ঞের সহায়তায় রিটার্ন দাখিলের কাজটি আরও সহজ ও নির্ভুলভাবে করা যায়।