মাথা গোজাবার ঠাঁই নেই দোয়ারাবাজার উপজেলার বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ৬:০৬:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সম্মানী ভাতা ও মাথা গোজাবার ঠাঁই পাচ্ছেন না একাত্তরের এক বীর মুক্তযোদ্ধা। নেই তার নিজস্ব কোন বাড়িঘর। পরিবার পরিজন নিয়ে ভবঘুরে জীবন যাপন করছেন। জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে চালিয়ে যাচ্ছেন অধিকার ও মর্যাদা উদ্ধারের লড়াই।
তিনি হচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর এলাকাধীন দ্বিনেরটুক গ্রামের মরহুম তরিবুল্লার পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শুকুর আলী, যার বর্তমান বয়স ৯২ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলী ৪২ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন এবং কর্নেল আব্দুর রউফ বীর বিক্রমের অধীন ৫নং সেক্টর ও রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। যুদ্ধ শেষে সিরেটের বিশ্বনা থ থানার সামনে স্কুলগৃহে বরি মজিদের হাতে অস্ত্র জমা দেন। ১৯৭২ সালে তিনি পাগল হয়ে গেলে সরকার ও প্রশাসনের কেইউ তার থোজ নেয়নি।
২০০৫ সালে সুস্থ হয়ে অবতীণূ হন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মানী আদায়ে লড়াইয়ে। অনেক চড়াই উতরাই শেষে ২০২০ সালে তাকে স্বকিৃতি ও সরকারী ভাতা দেওয়া হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ভাতা প্রদান বন্ধ করে দেওযা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে অজ্ঞাত কারণে তার সম্মানী ভাতা বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে নিজস্ব কোন ঘরদরজা না থাকায় এলাকার বিভিন্ন জনের ঘরে-দুয়ারে বাস করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বিভিন্ন সময় সিলেটে বিভাগের দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের অনেক দায়িত্ব কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেও মাথা গোজাবার একটি ঠাঁই করতে পারছেন না তিনি। উপরন্তু ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ৯২ বছর বয়েসী এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মানবেতর জীবন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলী তার জন্য সরকারীভাবে একটি গৃহ নির্মাণ ও তার ভাতা পুনরায় চালু করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
- 18Shares