গরমকালে বাতাবি লেবুর উপকারিতা
বাতাবি লেবু, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি-টক ফল, গরমের দিনে অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে ভরপুর নয়, বরং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও প্রতিরোধ করে। প্রায় সব বয়সের মানুষ বাতাবি লেবুর স্বাদ ও গুণ উপভোগ করেন, যা জাম্বুরা নামেও পরিচিত।
গরমে খাবার অনীহা কমানোর জন্য
গরমের দিনে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, ফলে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। তবুও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে শরীর সুস্থ থাকে। এই সময়ে এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া জরুরি যা শরীরকে সতেজ রাখে, আর বাতাবি লেবু সেই তালিকায় শীর্ষে।
শরীরে পানির অভাব পূরণে বাতাবি লেবু
গরমে ঘাম বেশি হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। বাতাবি লেবুতে প্রচুর পানি রয়েছে যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই ফলটি শরীরের পানি ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বাতাবি লেবুতে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরমে নানা রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি।
ত্বকের যত্নে সহায়ক
বাতাবি লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবারও রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। এই ফলটি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সহায়ক এবং ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
হজমে সহায়ক
গরমকালে হজমের সমস্যায় ভুগলে বাতাবি লেবু খাওয়া বিশেষ উপকারী। এর অম্লীয় গুণ খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
বাতাবি লেবুর বিশেষ গুণাবলী
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বাতাবি লেবুতে রয়েছে ফ্যাট বার্নিং এনজাইম যা শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ও চিনি শোষণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি একটি দারুণ খাদ্য।
ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী
বাতাবি লেবুতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা ক্যানসার সেল বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য এই ফল ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
বাতাবি লেবুতে পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কার্যকর
বাতাবি লেবুতে থাকা পেকটিন রক্তের দূষিত পদার্থগুলোকে বের করে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, যা শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করে।
হজম ও দাঁতের যত্নে বাতাবি লেবু
বাতাবি লেবুর পাতাও দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এটি দাঁতের সমস্যা সমাধানে কার্যকর এবং গামের সমস্যায়ও ব্যবহার করা হয়।
মশা তাড়ানোর ৭টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড় থেকে নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মশার কামড় এড়াতে অনেকেই বাজারের বিভিন্ন কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেন, যা অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হলো, যা স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজে তৈরি করা যায়।
১) পুদিনা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ
পুদিনা তেল মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। এতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। ১২ ফোঁটা পুদিনা তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে হাতে ও পায়ে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে মশার উৎপাত কমবে।
২) নিম তেল ও নারকেল তেল
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম তেল মশার বিরুদ্ধে কার্যকরী। ১০ ফোঁটা নিম তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। দিনে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে মশা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
৩) আপেল সিডার ভিনেগার ও লবঙ্গ তেল
মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে লবঙ্গ তেল ও আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ৫০ এমএল আপেল সিডার ভিনেগার, ৫০ এমএল পানি ও ১০-১২ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ত্বকে প্রয়োগ করুন।
৪) দারুচিনি তেল ও পানি
এডিস মশা, যা ডেঙ্গু বিস্তার করে, তাড়াতে দারুচিনি তেল বেশ কার্যকর। ১০ ফোঁটা দারুচিনি তেল ৩০-৪০ এমএল পানিতে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন।
৫) মাউথওয়াশ ও এপসম সল্ট
মাউথওয়াশের কিছু উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। একটি বড় মাউথওয়াশের সাথে তিন কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে এই মিশ্রণ ঘরের চারপাশে দিনে দুইবার ছিটিয়ে দিন। এটি মশা দূরে রাখার জন্য ভালো কাজ করবে।
৬) রসুন ও লেবুর মিশ্রণ
৫-৬টি রসুনের কোয়া কুচিকুচি করে কেটে এতে এক টেবিল চামচ মিনারেল অয়েল মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এই মিশ্রণ থেকে রসুন ছেঁকে এতে এক চা-চামচ লেবুর রস ও দুই কাপ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। এটি ঘরের গাছপালায়ও ছিটাতে পারেন।
৭) লবঙ্গ ও লেবু
একটি লেবু কেটে দুই টুকরো করুন। প্রতিটি টুকরোতে ৫-৬টি লবঙ্গ ঢুকিয়ে রুমের বিভিন্ন স্থানে রাখুন। এটি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
আখরোটের উপকারিতা
আখরোট, এক ধরনের বাদামজাতীয় ফল, দেখতে হৃৎপিণ্ডের মতো। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং আয়রন, যা একে সুপারফুডের তালিকায় স্থান দিয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।
আখরোট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে আখরোট খেলে উপকারিতা বেশি মেলে। প্রতিদিন ২ থেকে ৪টি আখরোট রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া ভালো। আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে যে উপকারিতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, প্রতিদিন আখরোট খাওয়া টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আখরোটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়
আখরোটে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ এবং হতাশা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আখরোট খেলে মনের অবস্থা ভালো থাকে এবং মনোবল বাড়ে।
ওজন কমাতে সহায়ক
আখরোটে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্ক রয়েছে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হওয়ার জন্য কার্যকর, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ভালো ঘুম নিশ্চিত করে
আখরোট বিপাকক্রিয়া উন্নত করায় ঘুম ভালো হয়। রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে আখরোট খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।
হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে
আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরল কমায়
নিয়মিত আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
আখরোট নিয়মিত খেলে এ ধরনের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
সিনার, মেদভেদেভ, আলকারাজ এবং জোকোভিচের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন?
ইতালির টেনিস তারকা জানিক সিনারকে কঠিন এক ড্রয়ের মুখোমুখি হতে হবে রোলেক্স শাংহাই মাস্টার্সে। এই টুর্নামেন্টের প্রথম বাছাই সিনার, পিআইএফ এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে তিনজন সাবেক নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন— কোয়ার্টার ফাইনালে দানিল মেদভেদেভ, সেমি-ফাইনালে কার্লোস আলকারাজ এবং ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে।
সিনার তার শাংহাই অভিযান শুরু করবেন জাপানি অভিজ্ঞ তারো ড্যানিয়েল বা একজন কোয়ালিফায়ারের বিপক্ষে। সম্ভাব্যভাবে তার প্রথম বাছাই প্রতিপক্ষ হতে পারেন ৩১তম বাছাই টমাস মার্টিন ইচেভেরি। সিনারের ড্রয়ের অংশে আরও রয়েছেন ১৪তম বাছাই বেন শেলটন এবং ২১তম বাছাই আর্থার ফিলস, যারা চতুর্থ রাউন্ডে তার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারেন।
মেদভেদেভ এবং ২০১৯ নিট্টো এটিপি ফাইনালস চ্যাম্পিয়ন স্টেফানোস সিসিপাসও সিনারের কোয়ার্টারে রয়েছেন। ২০১৯ সালের শাংহাই মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন মেদভেদেভ তার অভিযান শুরু করবেন ব্রাজিলের থিয়াগো সেবোথ ওয়াইল্ড বা একজন কোয়ালিফায়ারের বিপক্ষে।
তৃতীয় বাছাই কার্লোস আলকারাজ, যিনি গত বছর শাংহাই মাস্টার্সে চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছেছিলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন #NextGenATP প্রতিপক্ষ শাং জুনচেং বা কোলম্যান ওং-এর। বড় সার্ভিং চিলির ২৫তম বাছাই নিকোলাস জ্যারি তৃতীয় রাউন্ডে আলকারাজের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবেন।
আলকারাজের কোয়ার্টারে আরও রয়েছেন ৮ নম্বর বাছাই ক্যাসপার রুড, ১১তম বাছাই টমি পল এবং চেক প্রজাতন্ত্রের উদীয়মান তারকা টমাস মাচাচ, যিনি টোকিও সেমিফাইনালে উঠেছেন এবং ৩০তম বাছাই হিসেবে খেলছেন।
নোভাক জোকোভিচ ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে অ্যালেক্সি পপিরিনের কাছে হারের পর মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবেন এই টুর্নামেন্টে। তিনি ডেভিস কাপের একটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন ইউএস ওপেনের পরের সপ্তাহেই। শাংহাই মাস্টার্সে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ এবার প্রথম রাউন্ডে খেলবেন #NextGenATP আমেরিকান অ্যালেক্স মিচেলসেন বা চীনের ফর্মে থাকা খেলোয়াড় বুইয়ুনচাওকেটের বিরুদ্ধে।
জোকোভিচ ২০১৯ সালের পর থেকে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেননি। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে, জোকোভিচ শাংহাই মাস্টার্সে নয়টি অংশগ্রহণের মধ্যে কখনও কোয়ার্টার ফাইনালের নিচে নামেননি।
দ্বিতীয় বাছাই আলেকজান্ডার জ্ভেরেভ টুর্নামেন্ট শুরু করবেন একজন কোয়ালিফায়ারের বিপক্ষে। ২০১৯ সালের ফাইনালিস্ট জ্ভেরেভ তৃতীয় রাউন্ডে ২৬তম বাছাই অস্ট্রেলিয়ার হট-ফর্মে থাকা জর্ডান থম্পসনের মুখোমুখি হতে পারেন। তাদের আগের চারটি লেক্সাস এটিপি হেড-টু-হেড ম্যাচে দুটি জয় ভাগাভাগি করেছেন, যার মধ্যে এই বছর তাদের দুইটি ম্যাচও রয়েছে।
গুগলের ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচারে আসছে ছবি সংরক্ষণ ও শেয়ারের নতুন অপশন
গুগলের ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচারে হাইলাইটেড অংশ সংরক্ষণ ও শেয়ার করার নতুন অপশন যুক্ত হতে চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গুগল এই জেস্টার-চালিত অনুসন্ধান ফিচারের জন্য “কপি ইমেজ” এবং “শেয়ার ইমেজ” অপশনগুলি যোগ করছে এবং ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসে কিছু ছোট পরিবর্তন করছে।
বর্তমানে, ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচার কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের কোনো দৃশ্যমান আইটেম বা অবজেক্টকে ঘিরে অথবা হাইলাইট করে দ্রুত গুগল লেন্স অনুসন্ধানের সুযোগ দেয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, “কপি ইমেজ” অপশনের মাধ্যমে, ডিসপ্লের হাইলাইটেড এলাকাটি স্ক্রিনশট হিসেবে কপি করা হবে। এছাড়াও, এটি একটি নতুন ইমেজ সম্পাদনা ইন্টারফেস খুলবে যা ব্যবহারকারীদের ক্যাপচার করা ছবি ক্রপ করতে বা প্রসারিত করতে এবং সংরক্ষণের পূর্বে সামান্য সম্পাদনা কাজ, যেমন টেক্সট যোগ করতে দেবে। ব্যবহারকারী সম্পাদিত স্ক্রিনশটটি কপি করে সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে শেয়ার করতে পারবেন।
“শেয়ার ইমেজ” অপশনের ক্ষেত্রে, গুগল সম্ভবত ধরা হওয়া বিভাগটি সমর্থিত অ্যাপগুলি এবং প্ল্যাটফর্মগুলিতে সরাসরি শেয়ার করার একটি সরাসরি উপায় অফার করবে।
এই নতুন সংযোজনগুলির সাথে, গুগল ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচারে আরও কার্যকারিতা যুক্ত করছে। এটি ব্যবহারকারীদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে, কারণ পর্দার একটি বিভাগ ধরার জন্য, তাদের পুরো স্ক্রিনশট নিতে এবং তারপর অপ্রয়োজনীয় অংশটি ক্রপ করতে হবে না।
গুগলের ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচারটি স্যামসাং গ্যালাক্সি S24 সিরিজের স্মার্টফোনগুলির সাথে প্রথম চালু করা হয়েছিল এবং তারপর এটি পিক্সেল 8 সিরিজ এবং পিক্সেল 7 সিরিজের স্মার্টফোনগুলিতে প্রদান করা হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে, গুগল আরও ডিভাইসগুলিতে জেস্টার-চালিত অনুসন্ধান ফিচারগুলি চালু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পিক্সেল 6 সিরিজ, পিক্সেল 6a, পিক্সেল 7a, স্যামসাং গ্যালাক্সি S23 সিরিজ, S23 FE, Z Fold5, এবং Z Flip5।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রত্যাশা
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড পরিবারে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি জয় নিয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল না। সেই ফর্মের সাথে তারা বিশ্বকাপেও অবস্থান করেছিল। তাদের ক্রিকেট উপহার দিয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে তারা বাংলাদেশে টেস্ট ফরম্যাটে এসে হারানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছে।
হওয়ারপরেও, সিলেট টেস্টে হারলেও নিউজিল্যান্ড নিজেদের স্বল্প ব্যবধানে হারার পর নিজেদের উপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রেখেছিল। বাংলাদেশের কাছে অণুপ্রেরণা নিয়ে তারা ঢাকা টেস্টে ভালো করতে চাইতেছে। দলের স্পিন বিভাগে ইশ সোধি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা অনুশীলনের পরে দলের অবস্থা উন্নতি দেখাতে পারে।
সোমবার, তারা মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘সিলেটে হারে পরাজিত দল নিয়ে পরবর্তী টেস্টে আসা কঠিন হতে পারে, কিন্তু আমরা টেস্ট খেলার স্পেস এ ছিলাম। আমি বেশ সময় ধরে টেস্ট খেলি নি, তাই কন্ডিশনগুলো আমাদের জন্য ব্যাপার করতে পারে। আমরা মনে করি বাংলাদেশ খুব ভালো খেলেছে, তারা আমাদের পেছনে ছিলেন। তবে, আমরা তাদের খেলার স্টাইল থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আশা করছি আমরা পরবর্তী ম্যাচে এই শেখা কাজে লাগাতে পারব।’
ঢাকা টেস্টে, সোধি এক স্পিন গ্রুপ হিসেবে সঠিকভাবে পারফর্ম করতে চান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা একটি বোলিং গ্রুপ হিসেবে একসঙ্গে ভালো খেলতে চাই। স্পিন গ্রুপ বা যে কোন গ্রুপ, আমরা সবাই চেষ্টা করব উন্নতি করতে।
‘আমার মনে হয় টেস্ট খেলা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ আমরা লম্বা সময় ধরে টেস্ট খে