IELTS কি এবং কেন প্রয়োজন?
IELTS (International English Language Testing System) একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা, যা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয়। এই পরীক্ষাটি দুটি ধরণের হতে পারে: একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং। যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন, তাদের জন্য একাডেমিক মডিউল প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে যারা অভিবাসন বা চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে চান, তাদের জন্য জেনারেল ট্রেনিং মডিউল প্রযোজ্য। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, যেকোনো ব্যক্তি এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
পরীক্ষার কাঠামো
দুটি মডিউলেই চারটি দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়: লিসেনিং, রাইটিং, রিডিং, এবং স্পিকিং। লিসেনিং, রাইটিং এবং রিডিং পরীক্ষা একই দিনে বিরতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়, তবে স্পিকিং পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখে পূর্বে বা পরে হতে পারে। সম্পূর্ণ পরীক্ষাটি প্রায় ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়।
রাইটিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রাইটিং পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর কল্পনাশক্তি ও বিশ্লেষণ দক্ষতা যাচাই করা হয়। প্রথম প্রশ্নে একটি গ্রাফ, চার্ট, ডায়াগ্রাম বা মানচিত্র প্রদর্শিত হয় যা বিশ্লেষণ করতে হয়, এবং দ্বিতীয় প্রশ্নে একটি যুক্তি বা বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রদান করতে হয়। প্রথম প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং দ্বিতীয় প্রশ্নের জন্য ৪০ মিনিট ব্যয় করা পরামর্শ দেওয়া হয়। শব্দের সীমাবদ্ধতা যথাক্রমে ১৫০ ও ২৫০ শব্দ, তবে এর কম লিখলে নম্বর কাটা যাবে। জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে প্রথম প্রশ্নে চিঠি লেখা থাকে, যা ফরমাল বা ইনফরমাল হতে পারে।
স্পিকিং সেকশন
সময়সীমাঃ ১০-১৫ মিনিট
স্পিকিং পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষাটি তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, দ্বিতীয় অংশে নির্দিষ্ট বিষয়ে বক্তৃতা দিতে হয় এবং তৃতীয় অংশে সেই বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন করা হয়। পরীক্ষার শুরুতে কিছু সময় দিয়ে বিষয় নিয়ে নোট নেওয়ার সুযোগ থাকে এবং বক্তব্য শেষে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থামতে হবে না।
লিসেনিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৩০ মিনিট
লিসেনিং পরীক্ষায় ব্রিটিশ উচ্চারণে ৪টি রেকর্ডিং শোনানো হয়, যার প্রতিটি রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। রেকর্ডিংগুলি একবারই শোনানো হয়। প্রথম রেকর্ডিংয়ে দৈনন্দিন জীবনের কথোপকথন, দ্বিতীয়টিতে সামাজিক বিষয়ে একক বক্তৃতা, তৃতীয়টিতে শিক্ষামূলক আলোচনার কথা থাকে এবং চতুর্থটিতে একাডেমিক বিষয়ে বক্তৃতা থাকে।
রিডিং সেকশন
সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রিডিং সেকশনে মোট ৪০টি প্রশ্ন থাকে যা থেকে পরীক্ষার্থীর বোঝাপড়া, বিশ্লেষণ এবং লেখকের অভিপ্রায় ধরার ক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। একাডেমিক মডিউলে সাধারণত গবেষণামূলক দীর্ঘ নিবন্ধ থাকে, যা সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপিত হয়। জেনারেল ট্রেনিংয়ের রিডিং সেকশনে দৈনন্দিন জীবনের সহজ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
IELTS পরীক্ষায় সফলতার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, কারণ এটি প্রার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে।
গরমকালে বাতাবি লেবুর উপকারিতা
বাতাবি লেবু, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি-টক ফল, গরমের দিনে অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে ভরপুর নয়, বরং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও প্রতিরোধ করে। প্রায় সব বয়সের মানুষ বাতাবি লেবুর স্বাদ ও গুণ উপভোগ করেন, যা জাম্বুরা নামেও পরিচিত।
গরমে খাবার অনীহা কমানোর জন্য
গরমের দিনে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, ফলে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। তবুও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে শরীর সুস্থ থাকে। এই সময়ে এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া জরুরি যা শরীরকে সতেজ রাখে, আর বাতাবি লেবু সেই তালিকায় শীর্ষে।
শরীরে পানির অভাব পূরণে বাতাবি লেবু
গরমে ঘাম বেশি হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। বাতাবি লেবুতে প্রচুর পানি রয়েছে যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই ফলটি শরীরের পানি ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বাতাবি লেবুতে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরমে নানা রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি।
ত্বকের যত্নে সহায়ক
বাতাবি লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবারও রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। এই ফলটি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সহায়ক এবং ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
হজমে সহায়ক
গরমকালে হজমের সমস্যায় ভুগলে বাতাবি লেবু খাওয়া বিশেষ উপকারী। এর অম্লীয় গুণ খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
বাতাবি লেবুর বিশেষ গুণাবলী
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বাতাবি লেবুতে রয়েছে ফ্যাট বার্নিং এনজাইম যা শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ও চিনি শোষণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি একটি দারুণ খাদ্য।
ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী
বাতাবি লেবুতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা ক্যানসার সেল বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য এই ফল ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
বাতাবি লেবুতে পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কার্যকর
বাতাবি লেবুতে থাকা পেকটিন রক্তের দূষিত পদার্থগুলোকে বের করে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, যা শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করে।
হজম ও দাঁতের যত্নে বাতাবি লেবু
বাতাবি লেবুর পাতাও দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এটি দাঁতের সমস্যা সমাধানে কার্যকর এবং গামের সমস্যায়ও ব্যবহার করা হয়।
ডিসেম্বর মাসে Orion নামে নতুন AI মডেল উন্মোচনের পরিকল্পনা OpenAI-এর
প্রতিবেদন অনুসারে, OpenAI তাদের পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল “Orion” শীঘ্রই উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে, যা GPT-4-এর থেকে শতগুণ বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন মিডিয়া The Verge অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে, এই নতুন মডেলটি সরাসরি ChatGPT-তে প্রকাশিত হবে না। The Verge-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, OpenAI Orion-এর অ্যাক্সেস প্রথমে তাদের ব্যবসায়িক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করবে, যাতে তারা এই উন্নত মডেলটি ব্যবহার করে নিজেদের পণ্য ও সেবা উন্নত করতে পারে। এর মাধ্যমে GPT-4o এবং o1-এর মতোই ভিন্নভাবে এটি ব্যবহৃত হবে।
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে যে, সম্ভবত নভেম্বর মাসে Orion Microsoft Azure-এর মাধ্যমে হোস্ট করা হবে, যা বড় পরিসরে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে।
যদিও OpenAI Orion-কে GPT-4-এর উত্তরসূরি হিসেবে দেখছে, তবে এটি বাইরে থেকে GPT-5 নামে পরিচিত হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
OpenAI-এর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য তাদের বৃহৎ ভাষা মডেলগুলো (LLMs) একত্রিত করে কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (AGI) তৈরি করা, যা বর্তমান মডেলের চেয়েও বেশি সক্ষম হবে।
OpenAI-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান এর আগেও এটি নিয়ে একটি সংকেতমূলক পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “শীতের নক্ষত্রমণ্ডল খুব শিগগিরই উদয় হতে চলেছে,” যা Orion-এর প্রতি ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে যে, OpenAI ইতিমধ্যে “Strawberry” কোডনেমের অধীনে o1 মডেল ব্যবহার করে কৃত্রিম ডেটার মাধ্যমে Orion-এর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
এই সময়ে Orion-এর মুক্তি OpenAI-এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি $6.6 বিলিয়ন ডলারের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং এর জন্য তাদের ব্যবসায়িক কাঠামোকে লাভজনক হিসাবে পুনর্গঠন করতে হয়েছে।
মশা তাড়ানোর ৭টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড় থেকে নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মশার কামড় এড়াতে অনেকেই বাজারের বিভিন্ন কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেন, যা অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হলো, যা স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজে তৈরি করা যায়।
১) পুদিনা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ
পুদিনা তেল মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। এতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। ১২ ফোঁটা পুদিনা তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে হাতে ও পায়ে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে মশার উৎপাত কমবে।
২) নিম তেল ও নারকেল তেল
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম তেল মশার বিরুদ্ধে কার্যকরী। ১০ ফোঁটা নিম তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। দিনে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে মশা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
৩) আপেল সিডার ভিনেগার ও লবঙ্গ তেল
মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে লবঙ্গ তেল ও আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ৫০ এমএল আপেল সিডার ভিনেগার, ৫০ এমএল পানি ও ১০-১২ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ত্বকে প্রয়োগ করুন।
৪) দারুচিনি তেল ও পানি
এডিস মশা, যা ডেঙ্গু বিস্তার করে, তাড়াতে দারুচিনি তেল বেশ কার্যকর। ১০ ফোঁটা দারুচিনি তেল ৩০-৪০ এমএল পানিতে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন।
৫) মাউথওয়াশ ও এপসম সল্ট
মাউথওয়াশের কিছু উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। একটি বড় মাউথওয়াশের সাথে তিন কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে এই মিশ্রণ ঘরের চারপাশে দিনে দুইবার ছিটিয়ে দিন। এটি মশা দূরে রাখার জন্য ভালো কাজ করবে।
৬) রসুন ও লেবুর মিশ্রণ
৫-৬টি রসুনের কোয়া কুচিকুচি করে কেটে এতে এক টেবিল চামচ মিনারেল অয়েল মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এই মিশ্রণ থেকে রসুন ছেঁকে এতে এক চা-চামচ লেবুর রস ও দুই কাপ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। এটি ঘরের গাছপালায়ও ছিটাতে পারেন।
৭) লবঙ্গ ও লেবু
একটি লেবু কেটে দুই টুকরো করুন। প্রতিটি টুকরোতে ৫-৬টি লবঙ্গ ঢুকিয়ে রুমের বিভিন্ন স্থানে রাখুন। এটি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
জাতীয় শিক্ষক দিবস: শিক্ষকদের ভূমিকা এবং গুরুত্ব
শিক্ষকরা আমাদের জীবনের মূল ভিত্তি গড়ে তোলার কারিগর। একজন শিক্ষকের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের জীবনে আলোর পথ দেখায় না, বরং তাদের অনুপ্রেরণাও যোগায়। তাদের ছাড়া উন্নত সমাজ এবং সুশৃঙ্খল জীবন গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। শিক্ষকরা ছাত্রদের জীবনকে মমতা, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে আলোকিত করেন, তাদেরকে একটি সুদৃঢ় ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
বাংলাদেশে ২০০৩ সালে ১৯ জানুয়ারি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ প্রবর্তিত হয়। সেই থেকে এই দিনটি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন হিসেবে পালন করে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছিল, যেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
একজন মানুষের জীবনে সফলতা অর্জনের পেছনে শিক্ষকের অবদান অমূল্য। শিক্ষকরা জ্ঞানের আলো দিয়ে আমাদের জীবনকে আলোকিত করেন। তবে, বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মানের কিছুটা অবনতি ঘটেছে। মুখস্থ বিদ্যা এবং নম্বর অর্জনের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে, যা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর পেছনে অপেশাদার কিছু শিক্ষকের ভূমিকা আছে, যারা শুধুমাত্র অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষাকে অপব্যবহার করছেন। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তবে, পুরো শিক্ষক সমাজকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা খুবই প্রয়োজনীয়। শিক্ষকরা শুধু জ্ঞানের আলো দেন না, তারা আমাদের নৈতিকতা, সততা, মানবিক মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমের বোধও গড়ে তোলেন। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি গঠনেও শিক্ষকদের অবদান অপরিসীম। তারা ছাত্রদের জীবনে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সহায়ক হন, এবং একজন আদর্শ জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
শিক্ষকরা একটি জাতির মেরুদণ্ড তৈরির শিল্পী। দক্ষ শিক্ষক ছাড়া একটি জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না। একজন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করে তোলেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, দেশপ্রেম, এবং মানবিকতা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সহানুভূতি, ভালোবাসা, এবং দিকনির্দেশনা শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং একজন সৎ এবং সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
শিক্ষকদের গুরুত্ব এবং দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধুমাত্র পাঠদান করেন না, তিনি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভাকেও জাগিয়ে তোলেন। তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, ডাক্তার, রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক গড়ে ওঠে। তাই, শিক্ষকদের অবদান এবং তাদের প্রতি সম্মান সর্বদাই আমাদের মনে রাখা উচিত।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর শিক্ষকরা সেই মেরুদণ্ড তৈরির প্রধান কারিগর। তাদের জ্ঞান, সততা এবং নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে একটি জাতি গঠিত হয়। সুশিক্ষিত এবং দক্ষ শিক্ষকরাই একটি জাতিকে সভ্যতার শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল: কখন, কীভাবে, এবং কারা জমা দিবেন
আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স হলো একটি বাধ্যতামূলক অর্থ যা ব্যক্তিগত আয় বা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের উপর আরোপিত হয়। এই কর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য সংগ্রহ করা হয়। আয়কর রিটার্ন হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে করদাতা তার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য প্রদান করেন কর কর্তৃপক্ষের কাছে। এই রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে করদাতার করযোগ্য আয়ের হিসাব নির্ধারণ করা হয়।
কারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন?
দুই ধরণের ব্যক্তিকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
১. যাদের করযোগ্য আয়, মুনাফা বা লাভ রয়েছে। ২. এমন ব্যক্তিবর্গ যাদের আয় থাকুক বা না থাকুক, আয়কর নির্দেশিকা ২০২১-২২ অনুযায়ী ২২ প্রকারের ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
কত আয় হলে আয়কর দিতে হবে?
নির্দিষ্ট আয়ের সীমার ওপর ভিত্তি করে আয়কর দিতে হয়:
- পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়।
- মহিলা, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়।
- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে।
- প্রতিবন্ধী করদাতার আয় বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে।
এই আয়ের সীমার মধ্যে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না, তবে শূন্য রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর রিটার্ন দাখিল মানেই সবসময় কর পরিশোধ নয়; যদি আয় করসীমার ওপর থাকে তবে নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে।
কখন আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন?
করদাতাকে নির্দিষ্ট কর দিবসের মধ্যে তার আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। ২০২১-২২ কর বছরের জন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার সর্বশেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর ২০২১। সাধারণত, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়কাল ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হয়।
কোথায় আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন?
প্রত্যেক শ্রেণির করদাতার জন্য নির্দিষ্ট আয়কর সার্কেল আছে যেখানে রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। দেশের ৩১টি কর অঞ্চলে ৬৪৯টি সার্কেলে এই রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। পুরোনো করদাতারা তাদের পূর্বের সার্কেলে রিটার্ন জমা দিবেন, আর নতুন করদাতারা তাদের নাম, চাকরির স্থান বা ব্যবসার ঠিকানার ভিত্তিতে সার্কেল নির্ধারণ করে রিটার্ন জমা দেবেন। এছাড়াও প্রয়োজন হলে নিকটস্থ আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে সহায়তা নেওয়া যায়।
কীভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রতিটি করদাতার জন্য নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এটি নিজে জমা দেওয়া সম্ভব, তবে কোনো আইনজীবী বা আয়কর বিশেষজ্ঞের সহায়তায় রিটার্ন দাখিলের কাজটি আরও সহজ ও নির্ভুলভাবে করা যায়।
বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য
শুভ রত্ন: রক্ত প্রবাল
শুভ রং: হলুদ, কমলা, লাল, সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩, ৪, ৯
শুভ বার: রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার
বৃশ্চিক রাশির জাতক ও জাতিকারা সাধারণত গোপনীয়তা প্রিয় ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে থাকেন। এদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী এবং তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রকৃতির। জীবনে যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি আসুক না কেন, বৃশ্চিক রাশির মানুষরা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে কাজ করেন। তারা তাদের ব্যথা-বেদনা সহজে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না এবং নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন।
এরা যে কোনো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অন্যকে চমকে দিতে সক্ষম হন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা দায়িত্বশীল ও সাহসী। একই সঙ্গে ধৈর্যশীলতাও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে, একবার যদি এরা রেগে যান, তাদের কথাবার্তা হয়ে ওঠে তীক্ষ্ণ ও কর্কশ, যা অন্যদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার মধ্যে অতিন্দ্রীয় বিষয়ের প্রতি একটি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। তারা অনেক সময় গবেষণামূলক কাজে নিজেকে নিবেদন করতে পছন্দ করেন। গবেষণা, সংগীত, কলা এবং লেখালেখির প্রতি তাদের সহজাত ঝোঁক থাকে। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজেদের মননশীলতার জন্য পরিচিত। বিশেষ করে, লেখক হিসেবে তারা সুনাম অর্জন করতে পারেন। এদের বুদ্ধিমত্তা এবং সৃজনশীলতা সবসময় উচ্চ মানের হয়ে থাকে।
কিছু সময় তাদের ভুল বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। কিন্তু তাদের মনোবল কখনো কমে না। প্রেম এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট আন্তরিক এবং তাদের ভালোবাসার প্রতি একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকে।
বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজ জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সততা, সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে বিশ্বাস করেন। তাদের জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেই নেওয়া হয়, আর এ কারণেই তারা বেশিরভাগ সময় জীবনে সফল হন।
আখরোটের উপকারিতা
আখরোট, এক ধরনের বাদামজাতীয় ফল, দেখতে হৃৎপিণ্ডের মতো। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং আয়রন, যা একে সুপারফুডের তালিকায় স্থান দিয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।
আখরোট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে আখরোট খেলে উপকারিতা বেশি মেলে। প্রতিদিন ২ থেকে ৪টি আখরোট রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া ভালো। আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে যে উপকারিতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, প্রতিদিন আখরোট খাওয়া টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আখরোটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়
আখরোটে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ এবং হতাশা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আখরোট খেলে মনের অবস্থা ভালো থাকে এবং মনোবল বাড়ে।
ওজন কমাতে সহায়ক
আখরোটে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্ক রয়েছে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হওয়ার জন্য কার্যকর, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ভালো ঘুম নিশ্চিত করে
আখরোট বিপাকক্রিয়া উন্নত করায় ঘুম ভালো হয়। রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে আখরোট খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।
হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে
আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরল কমায়
নিয়মিত আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
আখরোট নিয়মিত খেলে এ ধরনের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।