লাইফস্টাইল

গরম ভাতের সাথে চিংড়ি মালাইকারি তৈরির সহজ পদ্ধতি

ওয়েব ডেস্ক
চিংড়ি মালাইকারি এক অবিস্মরণীয় পদ যা গরম ভাতের সাথে খেতে অতুলনীয়। আজ আমরা আপনাদের জন্য সহজ রেসিপি নিয়ে এসেছি, যাতে আপনি বাড়িতেই সহজে এই সুস্বাদু চিংড়ি মালাইকারি রান্না করতে পারেন। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কিভাবে প্রস্তুত করবেন চিংড়ি মালাইকারি।

উপকরণ

  • চিংড়ি মাছ (বড় সাইজ) – ৭-৮টি
  • পেঁয়াজ বাটা – ১ কাপ
  • হলুদ গুঁড়া – ২ চা চামচ
  • শুকনো মরিচ গুঁড়া – ২ চা চামচ
  • ঘি – ৪ চা চামচ
  • তেজপাতা – ২-৩টি
  • এলাচ – ৫-৬টি
  • সরিষার তেল – প্রয়োজনমতো
  • নারকেলের দুধ – ১ কাপ
  • টমেটো পিউরি – ৪ চা চামচ
  • আদা-রসুন বাটা – ৩ চা চামচ
  • চিনি – ২ চা চামচ
  • কাঁচামরিচ (চেরা) – ৫-৬টি
  • দারুচিনি – ৫-৬টি
  • লবণ – পরিমাণমতো
  • পানি – প্রয়োজনমতো

প্রস্তুত প্রণালী

১. প্রথমে চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন এবং লবণ ও হলুদ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

২. এবার একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করুন। তেলের মধ্যে ১ চা চামচ ঘি দিন, এবং গরম হলে তেজপাতা, দারচিনি এবং এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন।

৩. তেলটি মশলার সাথে মিশে গেলে চিংড়ি মাছগুলো হালকা ভেজে তুলে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।

৪. তারপর কড়াইতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ সামান্য লালচে হলে আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিন এবং ভালোভাবে মেশান।

৫. মসলাগুলো কষিয়ে নিলে টমেটো পিউরি দিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটু ফুটে উঠলে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে দিন।

৬. তারপর পরিমাণমতো পানি যোগ করে গ্রেভিটি ফুটতে দিন। এরপর এতে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো যোগ করুন।

৭. কড়াইতে নারকেলের দুধ ঢেলে কিছুক্ষণ রান্না করুন যাতে সমস্ত স্বাদ ভালোভাবে মিশে যায়। শেষে কাঁচামরিচ, এলাচ এবং একটু ঘি দিয়ে ঢেকে দিন।

৮. তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু চিংড়ি মালাইকারি। এবার এটি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

এই সহজ পদক্ষেপগুলো মেনে আপনি চিংড়ি মালাইকারি তৈরি করতে পারবেন। এটি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন, এবং বাড়ির পরিবেশে উপভোগ করুন রেস্তোরাঁর স্বাদ।

লাইফস্টাইল

মশা তাড়ানোর ৭টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড় থেকে নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মশার কামড় এড়াতে অনেকেই বাজারের বিভিন্ন কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেন, যা অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হলো, যা স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজে তৈরি করা যায়।

১) পুদিনা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ

পুদিনা তেল মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। এতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। ১২ ফোঁটা পুদিনা তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে হাতে ও পায়ে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে মশার উৎপাত কমবে।

২) নিম তেল ও নারকেল তেল

গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম তেল মশার বিরুদ্ধে কার্যকরী। ১০ ফোঁটা নিম তেল ও ৩০ এমএল নারকেল তেল মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। দিনে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে মশা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

৩) আপেল সিডার ভিনেগার ও লবঙ্গ তেল

মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে লবঙ্গ তেল ও আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ৫০ এমএল আপেল সিডার ভিনেগার, ৫০ এমএল পানি ও ১০-১২ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ত্বকে প্রয়োগ করুন।

৪) দারুচিনি তেল ও পানি

এডিস মশা, যা ডেঙ্গু বিস্তার করে, তাড়াতে দারুচিনি তেল বেশ কার্যকর। ১০ ফোঁটা দারুচিনি তেল ৩০-৪০ এমএল পানিতে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন।

৫) মাউথওয়াশ ও এপসম সল্ট

মাউথওয়াশের কিছু উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। একটি বড় মাউথওয়াশের সাথে তিন কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে এই মিশ্রণ ঘরের চারপাশে দিনে দুইবার ছিটিয়ে দিন। এটি মশা দূরে রাখার জন্য ভালো কাজ করবে।

৬) রসুন ও লেবুর মিশ্রণ

৫-৬টি রসুনের কোয়া কুচিকুচি করে কেটে এতে এক টেবিল চামচ মিনারেল অয়েল মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এই মিশ্রণ থেকে রসুন ছেঁকে এতে এক চা-চামচ লেবুর রস ও দুই কাপ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে শরীরের খোলা অংশে প্রয়োগ করুন। এটি ঘরের গাছপালায়ও ছিটাতে পারেন।

৭) লবঙ্গ ও লেবু

একটি লেবু কেটে দুই টুকরো করুন। প্রতিটি টুকরোতে ৫-৬টি লবঙ্গ ঢুকিয়ে রুমের বিভিন্ন স্থানে রাখুন। এটি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে।

এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

লাইফস্টাইল

বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য

শুভ রত্ন: রক্ত প্রবাল
শুভ রং: হলুদ, কমলা, লাল, সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩, ৪, ৯
শুভ বার: রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার

বৃশ্চিক রাশির জাতক ও জাতিকারা সাধারণত গোপনীয়তা প্রিয় ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে থাকেন। এদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী এবং তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রকৃতির। জীবনে যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি আসুক না কেন, বৃশ্চিক রাশির মানুষরা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে কাজ করেন। তারা তাদের ব্যথা-বেদনা সহজে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না এবং নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন।

এরা যে কোনো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অন্যকে চমকে দিতে সক্ষম হন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা দায়িত্বশীল ও সাহসী। একই সঙ্গে ধৈর্যশীলতাও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে, একবার যদি এরা রেগে যান, তাদের কথাবার্তা হয়ে ওঠে তীক্ষ্ণ ও কর্কশ, যা অন্যদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার মধ্যে অতিন্দ্রীয় বিষয়ের প্রতি একটি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। তারা অনেক সময় গবেষণামূলক কাজে নিজেকে নিবেদন করতে পছন্দ করেন। গবেষণা, সংগীত, কলা এবং লেখালেখির প্রতি তাদের সহজাত ঝোঁক থাকে। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজেদের মননশীলতার জন্য পরিচিত। বিশেষ করে, লেখক হিসেবে তারা সুনাম অর্জন করতে পারেন। এদের বুদ্ধিমত্তা এবং সৃজনশীলতা সবসময় উচ্চ মানের হয়ে থাকে।

কিছু সময় তাদের ভুল বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। কিন্তু তাদের মনোবল কখনো কমে না। প্রেম এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট আন্তরিক এবং তাদের ভালোবাসার প্রতি একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকে।

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজ জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সততা, সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে বিশ্বাস করেন। তাদের জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেই নেওয়া হয়, আর এ কারণেই তারা বেশিরভাগ সময় জীবনে সফল হন।