আখরোটের উপকারিতা
আখরোট, এক ধরনের বাদামজাতীয় ফল, দেখতে হৃৎপিণ্ডের মতো। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং আয়রন, যা একে সুপারফুডের তালিকায় স্থান দিয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।
আখরোট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে আখরোট খেলে উপকারিতা বেশি মেলে। প্রতিদিন ২ থেকে ৪টি আখরোট রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া ভালো। আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে যে উপকারিতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, প্রতিদিন আখরোট খাওয়া টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আখরোটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়
আখরোটে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ এবং হতাশা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আখরোট খেলে মনের অবস্থা ভালো থাকে এবং মনোবল বাড়ে।
ওজন কমাতে সহায়ক
আখরোটে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্ক রয়েছে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হওয়ার জন্য কার্যকর, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ভালো ঘুম নিশ্চিত করে
আখরোট বিপাকক্রিয়া উন্নত করায় ঘুম ভালো হয়। রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে আখরোট খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।
হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে
আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরল কমায়
নিয়মিত আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
আখরোট নিয়মিত খেলে এ ধরনের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।