লাইফস্টাইল

বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য

শুভ রত্ন: রক্ত প্রবাল
শুভ রং: হলুদ, কমলা, লাল, সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩, ৪, ৯
শুভ বার: রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার

বৃশ্চিক রাশির জাতক ও জাতিকারা সাধারণত গোপনীয়তা প্রিয় ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে থাকেন। এদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী এবং তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রকৃতির। জীবনে যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি আসুক না কেন, বৃশ্চিক রাশির মানুষরা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে কাজ করেন। তারা তাদের ব্যথা-বেদনা সহজে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না এবং নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন।

এরা যে কোনো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অন্যকে চমকে দিতে সক্ষম হন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা দায়িত্বশীল ও সাহসী। একই সঙ্গে ধৈর্যশীলতাও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে, একবার যদি এরা রেগে যান, তাদের কথাবার্তা হয়ে ওঠে তীক্ষ্ণ ও কর্কশ, যা অন্যদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার মধ্যে অতিন্দ্রীয় বিষয়ের প্রতি একটি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। তারা অনেক সময় গবেষণামূলক কাজে নিজেকে নিবেদন করতে পছন্দ করেন। গবেষণা, সংগীত, কলা এবং লেখালেখির প্রতি তাদের সহজাত ঝোঁক থাকে। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজেদের মননশীলতার জন্য পরিচিত। বিশেষ করে, লেখক হিসেবে তারা সুনাম অর্জন করতে পারেন। এদের বুদ্ধিমত্তা এবং সৃজনশীলতা সবসময় উচ্চ মানের হয়ে থাকে।

কিছু সময় তাদের ভুল বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। কিন্তু তাদের মনোবল কখনো কমে না। প্রেম এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট আন্তরিক এবং তাদের ভালোবাসার প্রতি একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকে।

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা নিজ জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সততা, সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে বিশ্বাস করেন। তাদের জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেই নেওয়া হয়, আর এ কারণেই তারা বেশিরভাগ সময় জীবনে সফল হন।

মতামত

আখরোটের উপকারিতা

আখরোট, এক ধরনের বাদামজাতীয় ফল, দেখতে হৃৎপিণ্ডের মতো। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং আয়রন, যা একে সুপারফুডের তালিকায় স্থান দিয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।

আখরোট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে আখরোট খেলে উপকারিতা বেশি মেলে। প্রতিদিন ২ থেকে ৪টি আখরোট রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া ভালো। আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে যে উপকারিতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, প্রতিদিন আখরোট খাওয়া টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

আখরোটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

মানসিক চাপ কমায়

আখরোটে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ এবং হতাশা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আখরোট খেলে মনের অবস্থা ভালো থাকে এবং মনোবল বাড়ে।

ওজন কমাতে সহায়ক

আখরোটে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্ক রয়েছে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হওয়ার জন্য কার্যকর, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

ভালো ঘুম নিশ্চিত করে

আখরোট বিপাকক্রিয়া উন্নত করায় ঘুম ভালো হয়। রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে আখরোট খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে

আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোলেস্টেরল কমায়

নিয়মিত আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

আখরোট নিয়মিত খেলে এ ধরনের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।